Full Vedio:- 👇👇👇👇👇


ইউসুফ জুলেখা পর্ব ০২:

ইউসুফ (আঃ) ও জুলেখার কাহিনী ইসলামী ইতিহাস এবং কুরআনে বর্ণিত একটি বিখ্যাত গল্প। এটি মূলত সূরা ইউসুফ-এ (সূরা ১২) বিস্তারিতভাবে উল্লেখিত। কাহিনীর দ্বিতীয় পর্বটি সাধারণত জুলেখার প্রেম ও ষড়যন্ত্রের ঘটনার সাথে সম্পর্কিত। নিচে এই পর্বের সারাংশ দেওয়া হলো:


জুলেখার প্রেম ও ষড়যন্ত্র:


1. জুলেখার প্রেমে মুগ্ধতা:

মিশরের প্রধানমন্ত্রী (আজিজ)-এর স্ত্রী জুলেখা যুবক ইউসুফ (আঃ)-এর প্রতি গভীর আকৃষ্ট হয়ে পড়েন। ইউসুফ (আঃ) ছিলেন খুবই সুদর্শন ও চরিত্রবান। তার সৌন্দর্য জুলেখার হৃদয়ে প্রেম জাগিয়ে তোলে।



2. প্রলোভনের চেষ্টা:

একদিন জুলেখা তার প্রাসাদে ইউসুফ (আঃ)-কে একা পেয়ে প্রলোভিত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু ইউসুফ (আঃ) মহান আল্লাহর ভয়ে সেই প্রলোভন প্রত্যাখ্যান করেন এবং নিজেকে রক্ষা করতে প্রাসাদের দরজার দিকে ছুটে যান।

এ সময় জুলেখা তাকে পেছন থেকে ধরে ফেলে এবং তার জামা ছিঁড়ে ফেলে।



3. মিথ্যা অভিযোগ:

দরজার কাছে পৌঁছালে তারা আজিজ (জুলেখার স্বামী)-এর সামনে পড়েন। জুলেখা দ্রুত পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য ইউসুফ (আঃ)-এর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনেন যে, তিনি তাকে কুপ্রস্তাব দিয়েছেন।



4. প্রমাণ এবং সত্য উদঘাটন:

এক ব্যক্তির সাক্ষ্যের মাধ্যমে প্রমাণিত হয় যে ইউসুফ (আঃ) নির্দোষ এবং ঘটনাটি জুলেখার ষড়যন্ত্র ছিল।

কুরআনে বলা হয়েছে, "যদি ইউসুফের জামা সামনে থেকে ছেঁড়া থাকে, তবে সে দোষী। আর যদি পেছন থেকে ছেঁড়া থাকে, তবে সে নির্দোষ।" (সূরা ইউসুফ, আয়াত ২৬-২৭)।



5. জুলেখার মহিলাদের সাথে ঘটনা:

জুলেখা তার বন্ধুদের সামনে ইউসুফের সৌন্দর্য প্রমাণ করতে একটি কৌশল করেন। তিনি মহিলাদের হাতে ফল কাটার জন্য ছুরি দেন এবং ইউসুফ (আঃ)-কে সামনে নিয়ে আসেন। তার সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে তারা ভুলবশত নিজেদের হাত কেটে ফেলে এবং অবাক হয়ে বলে, "এ তো কোনো মানুষ নয়; তিনি তো এক মহিমান্বিত ফেরেশতা!"



6. ইউসুফ (আঃ)-এর কারাবাস:

পরিস্থিতি আরও জটিল হলে ইউসুফ (আঃ)-কে কারাগারে পাঠানো হয়, যদিও তিনি সম্পূর্ণ নির্দোষ ছিলেন। এটি ছিল আল্লাহর একটি পরিকল্পনা, যাতে পরবর্তীতে তিনি মিশরের নেতৃত্বে আসতে পারেন।




এই পর্যায়ে কাহিনী ইউসুফ (আঃ)-এর ধৈর্য, আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস এবং তার চরিত্রের দৃঢ়তার প্রমাণ দেয়। কুরআনের বর্ণনা অনুযায়ী, এটি শুধুই একটি গল্প নয়, বরং শিক্ষা ও নৈতিকতার উদাহরণ।